বিশেষ প্রতিবেদক: ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে পদ্মার ভাঙ্গনে বিলীন ফাজেলখার ডাঙ্গী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের স্থান নির্ধারন না হওয়ায় পাঠদান শুরু করা সম্ভব হয়নি। অপরদিকে এমপি ডাঙ্গী স:প্রা: বিদ্যালয়ে সোমবার থেকে যথারীতি পাঠ দান শুরু হলেও ভাঙ্গনাতংকে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ছিল কম ।
স্থানীয় বাসিন্দা আবুল খায়ের বলেন এমপি ডাঙ্গী ভাঙ্গন রোধ ডাম্পিং কাজের ধীর গতির কারনে অভিবাবকরা আতংকে রয়েছে। যে কারনে তারা তাদের ছেলে মেয়েদের স্কুলে আসতে দিতে চাচ্ছেন না।
ঐ স্কুলের সহকারী শিক্ষক ইব্রাহিম খলিল জানান ভাঙ্গনের ভয়ে প্রথম শ্রেনীতে ২২ জনের মধ্যে ১১জন,দ্বিতীয় শ্রেনীতে ২৬ জনের মধ্যে ১০ জন উপস্থিত হয়েছে। প্রাক প্রাথমিকের ৩৮ জন শিক্ষার্থীই অনুপস্থিত রয়েছে। এম কে ডাঙ্গী নিবাসী অভিবাবক রুমা আক্তার জানান যেভাবে বালি ফেলার কাজ হচ্ছে তাতে মনে হয় না স্কুলটি রক্ষা পাবে। বাড়ীর কাজ ফেলে সন্তান নিয়ে এসেছি স্কুলে। ছুটি হলে সাথে করে নিয়ে যাব।
এ ব্যাপারে ঠিকাদার মানিক বলেন বালু ভর্তি ট্রলার চরে ঠেকে যাওয়ায় কাজ একটু বাধা গ্রস্থ হচ্ছে।
অপরদিকে গত ১৪ আগষ্ট ফাজেলখার ডাঙ্গী স:প্রা:বিদ্যালয় নদী গর্ভে বিলীন হাবার পর অস্থায়ী ভাবে স্থান নির্ধারনে বিতর্ক থাকায় বিপাকে পরেছে ৯৭ জন শিক্ষার্থী। ঈদের ছুটির পর তারা কেউ স্কুলে যেতে পারেনি। তবে ফাজেল খার ডাঙ্গী গ্রামের সামসুদ্দীন মোল্যার বাড়ীতে ৭ দিন পাঠদান করা হবে। এর পরে বিকল্প ব্যবস্থা করতে চেয়েছে উপজেলা শিক্ষা কমিটি এমনই জানায় স্কুল কর্তৃপক্ষ।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আশরাফুল হক বলেন স্কুলের এক সহকারী শিক্ষক অস্থায়ী ভাবে জায়গা দিতে চেয়েছে। জেলা প্রশাসক মহাদয়ের দেওয়া ১৫ বান টিন ও ৫০ হাজার টাকা এসে পৌছলেই আমরা ঐ স্থানে ঘর তুলে পাঠদানের ব্যাবস্থা করবো। বিতর্কের ব্যাপারে তিনি বলেন যে যাই বলুক শিক্ষা কমিটির সিদ্ধান্তই চুরান্ত হবে।