নিজস্ব প্রতিবেদক: ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও আটটি বাড়ি পদ্মা নদীতে বিলিন হয়ে গেছে। সদর ইউনিয়নের ফাজেল খাঁর ডাঙ্গী গ্রামে গতকাল সোমবার দিবাগত রাত ৪ টা থেকে গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৬টার মধ্যে এ ঘটনা ঘটে।
বিলিন হয়ে যাওয়া স্কুলটির নাম ফাজেল খাঁর ডাঙ্গি সরকারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। একই সাথে ওই স্কুলের আশে পাশে আরও আটটি পরিবারের বসত বাড়ি নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যায়। এ সময় দুই একর ফসলী জমি এবং নাড়কেল, আম,মেহগনি সহ বিভিন্ন প্রজাতির শতাধিক গাছ নদী গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। ভিটে হারা হয়েছেন মোতালেব মুন্সী, ইউসুফ পাটাদার, খোকন মোল্যা, চুন্নু মোল্যা, ইদ্রিস মোল্যা, আলীম শেখ ও স্বপন শেখ এর পরিবার।
চরভদ্রাসন সদর ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান আজাদ খান বলেন, সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত ফাজিল খাঁর ডাঙ্গী এলাকায় পদ্মা নদী রুদ্ররুপ ধারন করে। স্কুল সহ একে একে আটটি বসতবাড়ি ফসরী জমি ও গাছপালা নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যায়। তিনি বলেন, এ স্কুল রক্ষার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড দুই দফা বালির বস্তা ফেললেও তা কোন কাজে আসেনি।
ফাজিল খাঁর ডাঙ্গি সরকারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সুত্রে জানা গেছে, ১৯৮৮ সালে ৩৩ শতাংশ জমির উপর এ স্কুলটি স্থাপন করা হয়। ১৯৯৩ সালে শিক্ষা চার লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যায়ে প্রকৌশল বিভাগ চার কক্ষ বিশিষ্ট এ ভবনটি করে দিয়েছিল। ওই বিদ্যালয়ে বর্তমানে শিক্ষার্থী রয়েছে ৯৭ জন এবং শিক্ষক আছেন পাঁচজন।
ওই বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মো. ফজলুর রহমান জানান, সোমবার দিবাগত রাত চারটার দিকে বিদ্যালয়ে চার কক্ষ বিশিষ্ট একতলা পাকা ভবনটি নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যায়। তিনি বলেন, ফজরের নামজ পড়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি সব শেষ হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, ভবনটি নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যাওয়ায় গতকাল মঙ্গলবার থেকে পাঠ দান বন্ধ রয়েছে। তিনি বলেন পাঠদান চালু রাখার জন্য আমরা বিকল্প খোঁজ করছি।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আশরাফুল হক জানান, ভেঙ্গে যাওয়া স্কুলের শিক্ষার্থীদের পাঠদান বিকল্প ভাবে চালু করার করার জন্য শিক্ষা কমিটির সাথে আলোচনা করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ফরিদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডেন নির্বাহী প্রকৌশলী সুলতান মাহমুদ বলেন, স্থায়ী কাজ ছাড়া এ ভাঙ্গন রোধ করা সম্ভব না। পদ্মার মাঝে চর পড়ায় নদীর ¯্রােত সরাসরি ওই পয়েন্টে হিট করারয় এ ভাঙ্গন সৃষ্টি হয়েছে। এ ব্যাপারে একনেক এ একটি স্থায়ী বাধের প্রকল্প অনুমোদন হয়েছে। আশা করি শুকনো মৌসুমে এর কাজ শুরু করতে পারবো।