কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান কাজী গোলাম সারোয়ার গোলাপ জেলার শ্রেষ্ঠ ইউপি চেয়ারম্যান হিসেবে সমাজে বিশেষ অবদান রাখায় এবার হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী স্মৃতি পদকে ভূষিত হয়েছেন।
শুক্রবার সন্ধ্যায় ঢাকার সেগুনবাগিচায় প্রফেসর ইমাম অডিটরিয়ামে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী স্মৃতি পরিষদ গণতন্ত্রের মানসপুত্র হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ১২৬তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তার হাতে এই সম্মাননা পদকটি তুলে দেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বিচারপতি শামসুল হুদা । আপিল বিভাগ বাংলাদেশ সুপ্রীমকোর্ট, চেয়ারম্যান বাংলাদেশ গণ তদন্ত কমিশন। সংগঠনের সহ সভাপতি,মোশারফ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর ড.মোহাম্মদ আমিনুর হক। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ডা :শহীদুল সিকদার। প্রো- ভাইস চ্যান্সেলর বঙ্গবন্ধু শেখ মজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়। পীরজাদা শহীদুল হারুন । অতিরিক্ত সচিব । অর্থ মন্ত্রণালয় । এর আগে এলজিএসপিতে কিশোরগঞ্জ জেলায় ‘এ’ গ্রেড অর্জনকারী হিসেবে গোলাম সারোয়ার শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যানের পদকে ভূষিত হন।
এইজন্য তাকে বাংলাদেশ ইউনিয়ন পরিষদ ফোরাম (বিইউপিএফ) স্বর্ণপদক ও আজীবন সদস্য ক্রেস্ট প্রদান করে। গত ৪ মে বিকেলে ঢাকার একটি অভিজাত হোটেলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী, বীরমুক্তিযোদ্ধা নূরুজ্জামান আহমেদ এমপি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ সম্মাননা ও পদক তার হাতে তুলে দেন।বিইউপিএফ সভাপতি মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপচার্য ড. প্রফেসর আ.আ.ম.স আরেফীন সিদ্দিক, সংসদ সদস্য রুহুল আমিন, দৈনিক সমকালের উপ-সম্পাদক আবু সাইয়িদ, জার্নালিস্ট ট্রেনিং অ্যান্ড রিচার্স ইনিস্টিটিউটের প্রধান নির্বাহী জামিল আহমেদ, দৈনিক নবচেতনার সম্পাদক শাখাওয়াত হোসেন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।গত ১৬ জুলাই বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা পিপলস ওরিয়েন্টেড প্রোগ্রাম ইমপ্লেমেন্টেশন (পপি) তাকে “সাদা মনের মানুষ” নির্বাচিত করে সংবর্ধনা ও পদক প্রদান করেন।
২০ জুলাই তিনি সমাজ সেবায় অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ লাভ করেন শেরে বাংলা পদক, ফিদেল কাস্ত্রো পদক। কাজী গোলাম সারোয়ার গোলাপ উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের মানিকদী গ্রামের বাসিন্দা। ওই ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম কাজী মফিজ উদ্দিনের সন্তান। গোলাম সারোয়ার ১৯৭৩-৭৪ সালে ভৈরব উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তুখোড় ছাত্রনেতা হিসেবে তখন তিনি বেশ সুনাম অর্জন করেন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি একজন সফল ব্যবসায়ী এবং তিন ছেলে ও এক মেয়ের জনক।২০১৬ সালে দেশে প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আনারস প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিজয়ী হন। নির্বাচিত হয়ে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বী সকল প্রার্থীদের সঙ্গে ঐক্যের বন্ধন তৈরি করে ইউনিয়ন পরিষদের উন্নয়নে মনোনিবেশ করেন। প্রাপ্ত সম্মাননার বিষয়ে এক প্রতিক্রিয়ায় গোলাম সারোয়ার বলেন, ‘আমি আমার এসব প্রাপ্ত সম্মান গজারিয়া ইউনিয়নবাসীকে উৎসর্গ করেছি।
তারা তাদের ভোটাধিকার আমার পক্ষে প্রদান না করলে আমি আজ এই সম্মানে ভূষিত হতে পারতাম না। তারা শুধু আমাকে নির্বাচিতই করেনি, এলাকার উন্নয়নে তাদের ভালোবাসা আর সহযোগিতা নিয়ে আমার পাশে থেকে অকুণ্ঠ সমর্থনও দিয়ে যাচ্ছেন। এই ধারা অব্যাহত থাকলে আমি আজীবন তাদের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখতে চাই।’এ সময় তিনি গজারিয়া ইউনিয়নবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতার পাশাপাশি ইউনিয়ন পরিষদের সকল সদস্য ও সদস্যাদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানান। ধন্যবাদ জানান ইউনিয়ন পরিষদ ফোরাম, ভৈরব উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদেরও।