সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জীবনের গল্প নিয়ে চলচ্চিত্র ‘হাসিনা: এ ডটারস টেল’। চলচ্চিত্রটি মুক্তির পরপরই সাড়া ফেলেছে অনেক। এবার আসছে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার জীবনী নিয়ে ৭০০ পৃষ্ঠার নতুন এক বই। গৃহবধূ থেকে প্রধানমন্ত্রী, স্বৈরাচারবিরোধী সংগ্রাম, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মেয়াদে কারাবাস— সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রীর জীবনের এসব ঘটনার অনেক অজানা কথা জানা যাবে এ বইয়ে। ইংরেজি ভাষায় রচিত বইটির নাম ‘বেগম খালেদা জিয়া : হার লাইফ, হার স্টোরি’।
বইটির লেখক সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহ বলেন, বইয়ে খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সংগ্রাম তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। একজন রাজনৈতিক নেতা হিসেবে তার উত্থানের গল্প। বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইং সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, আগামীকাল রবিবার (১৮ নভেম্বর) বিকেলে গুলশানের হোটেল লেকশোরে বইটির মোড়ক উন্মোচিত হবে। অনুষ্ঠানে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আসিফ নজরুল, লায়লা এন ইসলাম, নিউজ এজ সম্পাদক নুরুল কবীর, ইকতেদার কবীর, আনোয়ার হাশিম প্রমুখ উপস্থিত থাকবেন। ১৯৮১ সালের ৩০ মে এক ব্যর্থ সামরিক অভুত্থ্যানে জিয়াউর রহমান নিহত হন। এরপর প্রায় ৭ মাস পর দলের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীদের আহ্বানে ১৯৮২ সালে ৩ জানুয়ারি বিএনপিতে যোগ দেন খালেদা জিয়া। রাজনীতিতে তার আগমন এবং ‘আপসহীন’ নেতৃত্ব, সামরিক এরশাদ সরকার বিরুদ্ধে টানা আট বছরের সংগ্রাম শেষে ১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার গল্পগুলো তুলে এনেছেন মাহফুজউল্লাহ। তার লেখা এ বইয়ে বিশেষ প্রাধান্য পেয়েছে ওই সময়ের ঘটনা ও ঘটনার আড়ালের গল্প। ১৯৯১-এর আগে রাজনৈতিক সংগ্রাম, আন্দোলন এবং ২০০৬ সাল পরবর্তী তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মেয়াদে খালেদা জিয়ার জেলজীবন বইটির বড় অংশজুড়ে রয়েছে।
বইটিতে ২০০৭ সালের সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের শেষ সময় পর্যন্ত তুলে ধরেছেন সাংবাদিক মাহফুজউল্লাহ। তবে খালেদা জিয়ার গত কয়েক বছরে দলের নেতৃত্ব, ২০১৫ সালের তিন মাসের অবরোধ, ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যু, গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে তিন মাস অবস্থান, গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাবাস— এসব ঘটনা এ বইয়ে তুলে আনতে পারেননি তিনি। মাহফুজউল্লাহ জানান, খালেদা জিয়ার প্রকাশিতব্য বইটি তার সর্বশেষ জীবনীগ্রন্থ। এরপর তিনি আর কোনও ব্যক্তির জীবনী নিয়ে লিখবেন না। এর আগে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জীবনীগ্রন্থ রচনা করেছেন তিনি। ওই বইটির নাম ‘প্রেসিডেন্ট জিয়া অব বাংলাদেশ : আ পলিটিক্যাল বায়োগ্রাফি’।