ইতালীর ভিসা পেতে বাংলাদেশে দুর্নীতি ও ভোগান্তির শিকার হচ্ছে প্রবাসীরা

জাকির হোসেন সুমন : প্রবাসীদের বলা হয় রেমিট্যান্স যোদ্ধা। সেই রেমিট্যান্স যোদ্ধারা খোদ নিজ দেশে হয়রানি ও প্রতারনার শিকার হচ্ছে। ইতালীর ভিসা পেতে ঘুষ বাবদ গুনতে হচ্ছে মোটা অংকের টাকা। ইতালীতে বৈধ ও অবৈধ মিলিয়ে প্রায় ৪ লাখ বাংলাদেশীর বসবাস। বাবা, মা, স্ত্রী, সন্তান আত্মীয় স্বজন ছেড়ে সুদূর প্রবাসে থাকা যে দেশে বসবাস করছে সেই দেশে নয়, খোদ নিজ দেশ বাংলাদেশেই হয়রানি ও প্রতারনার শিকার হচ্ছেন। দীর্ঘ সময় ইতালীতে অবস্হান করা এ খেটে খাওয়া মানুষ গুলো তাদের স্ত্রী, সন্তান। বাবা ও মাকে ইতালীতে আনার জন্য আবেদন করছেন ১ থেকে ২ মাসের মধ্যে তাদের লুনাউস্তা হাতে পেয়ে যাচ্ছে। লুনাউস্তা সহ প্রয়োজনিও কাগজ পত্র নিয়ে যখন বাংলাদেশে ইতালীয়ান দূতাবাসের নির্দিস্ট এজেন্ট ভি এফ এস এ জমা দিতে গেলে সেখানে নানা সমস্যায় পরতে হয় প্রবাসীদের। এমন কি টাকার বিনিময়ে দালালের মাধ্যমে কাগজ জমা দিতে হয়। ভিসার জন্য লুনাউস্তা জমা দেবার পর নির্দিষ্ট সময়ে ভিসা না দিয়ে বছরের পর বছর ঘুরানো হচ্ছে দেশে থাকা প্রবাসীর পরিবার দের। ভিসা পেতে দূতাবাসে কর্মরত বাংলাদেশী, তাদের নির্দিষ্ট দালালের কাছে পৌছে দেয়া হচ্ছে ভিসা আবেদন কারির মোবাইল ফোন নাম্বার। ভেনিস প্রবাসী শরীয়তপুর জেলার নরিয়া উপজেলার ব্যবসায়ী আল মামুন ঢালী জানান, বাবা ও মায়ের ভিসা করিয়েছে ৬ লাখ টাকায়। দালাল দের টাকা দিলে ৩ দিন হতে ২ সপ্তাহে মধ্য মিলছে সোনার হরিন ইতালীর ভিসা। কুদ্দুস আলী জানান, তার স্ত্রী ও সন্তানের কাগজ জমা দেয়া হয়েছে বছর পেরিয়ে গেলেও ভিসা হচ্ছে না। দালালের মাধ্যমে মোটা অংকের টাকা চাওয়া হচ্ছে। চাহিদা অনুযায়ী জন প্রতি ৩ থেকে ৬ লাখ টাকা না দিলে ভিসা র কাগজ আটকে রেখে আাড়াই হরে তিন বছর পর ভিসা দেয়া হচ্ছে না, যা কিনা সম্পূর্ণ নিয়মের বাইরে। ভেনিস প্রবাসী ভৈরব এর মাসুম মিয়া জানান, এক বছর গলো এখনো ভিসা মিলছে না বৈধ কাগজ পত্র থাকা সত্ব্যেও।

বাংলাদেশে ইতালীয়ান দূতাবাসে কর্মরত বাংলাদেশী দের দূর্নীতি ও দালাল দের দৌড়াত্ব বন্ধে বাংলাদেশ সরকার ও ইতালীয়ান সরকারের দৃষ্টি আকর্শন করে সপ্রতি সাবাদ সম্মেলন ডাকে প্রবাসী বাংলাদেশী সহ ভুক্তভুগি রা। সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন দূর্নীতি বন্ধ করে বৈধ কাগজ পএ যাচাই বাছাই করে প্রবাসে একাকী জীবন কাটানো মানুষের কাছে তাদের পরিবার কে আসার জন্য যাতে দ্রত ভিসা দেয়া হয় সে ব্যাপারে সংস্লিস্ট কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments