একমাস সিয়াম সাধনার পর ইউরোপের অন্যান্য দেশের মত ইতালীতেও যথাযোগ্য মর্যাদা আর উৎসবের মধ্য দিয়ে উদযাপিত হয়েছে পবিত্র ঈদুল ফিরতের ঈদ। ইতালীর রাজধানী রোম সহ প্রধান শহরে ঈদের জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়। বিভিন্ন খোলা মাঠে এবং মসজিদে ঈদের জামাতে অংশগ্রহণ করেন বাংলাদেশী সহ সারা বিশ্বের মুসলমান জাতি।
রোমের পিয়াচ্ছা ভিত্তোরিওস্থ জাতীয় ঈদগা মাঠে, লার্গো প্রেনেসতে, তরপিনাত্তারা ২টি ঈদ গা ও তুসকোলানা, মন্তেভেরদে, মন্তানিওয়ালা সহ রোমের প্রায় ১২টি পৃথক স্থানে একাধিক জামাতে প্রবাসী বাংলাদেশী এবং সারা বিশ্বের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা শরিক হন। প্রায় ঈদের জামাতেই মহিলাদের জন্য জামাতের সুব্যবস্থা ছিল।
ইতালীতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আব্দুস সোবহান সিকদার ছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, আঞ্চলিক এবং সাংবাদিক সংগঠনে শীর্ষ নেতারা ঈদের নামাজ আদায় করেন।
রাষ্ট্রদূত ঈদের শুভেচ্ছায় সকলকে ইতালীতে একটি সুন্দর সমাজ গঠন করতে আহ্বান জানিয়ে বলেন, পবিত্র ঈদ সকলের জীবনে বয়ে আনুক সুখ ও অনাবিল আনন্দ। আমরা ঈদের নামাজে যেমন একত্রে ভেদাভেদ ভুলে একটি সারিবদ্ধ হয়ে নাজ আদায় করি, তেমনি ভাবে সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে যেন প্রবাসে বাংলা কমিউনিটি এবং দেশকে এগিয়ে নিতে পারি।
এসময় বিভিন্ন আয়োজক ও সংগঠনসহ প্রবাসীরা ঈদের শুভেচ্ছা জানান। তারা বলেন প্রবাসে এস এভাবে খোলা মাঠে ঈদ গাঁ’য়ে জামাত পড়তে পেরে সত্যি আমরা সুভাগ্যবান।
এই প্রবাস জীবনের ঈদ কখনো আনন্দ খুশির সাথে মিশে থাকে কষ্ট-বেদনা। ঈদের নামাজ শেষে প্রবাসীরা বলেন, স্বজনদের দেশে রেখে ঈদের প্রকৃত আনন্দ আমরা খুজে পাই না।
স্বজনরা দেশে থাকায় প্রবাসীরা স্মরণ করেন প্রিয় বাবা, মা, ভাই, বোনকে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সহযোগিতায় তাদের সাথেও শুভেচ্ছা বিনিময় করেন প্রবাসীরা। ছুটির দিন না হওয়াতে অনেকেই ঈদের জামাত শেষে ছুটতে হয়েছে জীবন জীবিকার সেই কর্মক্ষেত্রে।
ইতালীর ভেনিসে প্রতি বারের ন্যায় এবারও Comunita Islamica তথা পানারমা জামে মসজিদ এবং Associazzione Culturale la pace;র যৌথ উদ্যোগে পবিত্র ঈদুল ফিতরের ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভেনিস শহরের সানজুলিয়ানো পার্কে সকাল ৭.০০ টায় ঈদের সর্ব বৃহৎ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। প্রবাসী বাংলাদেশী এবং সারা বিশ্বের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা শরিক হন। ছিল মহিলাদের জন্য নামাজের সুব্যবস্থা। সানজুলিয়ানো পার্কের জামাতকে কেন্দ্র করে সকলেই যেন ঈদের আনন্দ-খুশিকে ভাগ করে নেয়, সকল মুসলমান যেন ভ্রাতিত্ব বন্ধনে আবদ্ধ হয়। এছাড়াও মিলানো, নাপলী ও তেররাসিনা সহ পালেরমো, আনকোনায় ঈদের বড় জামাত অনুষ্ঠিত হয়।