সাবেক আইএমএফ অর্থনীতিবিদ কার্লো কোত্তারিল্লিকে ইতালির অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট সার্জিও মাত্তারেল্লা।
কমরেড খোন্দকার: দেশটিতে সাংবিধানিক সংকট শুরু হওয়ার পর নতুন সরকার গঠনের লক্ষ্যে সোমবার অন্তবর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কার্লোকে নিয়োগ দেয়া হয়।
আর এর মধ্য দিতেই দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক অচলাবস্থার অবসান হলো।
গত ৪ মার্চ দেশটিতে পার্লামেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে দেশটির দুটি রাজনৈতিক দল ‘ফাইভ স্টার মুভমেন্ট’ ৩২ শতাংশ ও কট্টর ডানপন্থী লেগা নর্দ ১৮ শতাংশ ভোট পান।
ওই নির্বাচনে কোনো দলই এককভাবে সরকার গঠনে ব্যর্থ হওয়ার পর জোট সরকার গঠনে অন্যান্য দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরু হয়। কিন্ত সেই আলোচনা শেষ পর্যন্ত ভেস্তে যায়। পরে ওই দুই দল সরকার গঠনে ঐক্যমতে পৌঁছায়। এনিয়ে দেশটির হবু প্রধানমন্ত্রী কন্তে মন্ত্রীসভার সদস্য নিয়োগের জন্য প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলোচনায় বসেন।
দেশটির অর্থমন্ত্রী হিসেবে সাবেক শিল্পমন্ত্রী পাওরো সাবোনার নাম প্রস্তাব করেন। কিন্তু প্রেসিডেন্ট সেই প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত সরকার গঠন থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নেন কন্তে। পরে অন্তবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসাবে কার্লো কোত্তারিল্লিকে নিয়োগ দিলেন প্রেসিডেন্ট সার্জিও মাত্তারেল্লা।
নিয়োগ পাওয়ার পর কার্লো কোত্তারিল্লি বলেন, তিনি দেশে দ্রুত নতুন করে নির্বাচন দেওয়ার লক্ষ্যে একটি সরকার গঠন করবেন। আগামী আগস্টের পরে কিংবা ২০১৯ প্রথম দিকে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নে ইতালির অবস্থান প্রশ্নে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে পপুলিস্ট দলগুলোর বড় ধরনের মতপার্থক্য রয়েছে। দুই দলের পক্ষ থেকে গুইসেপ কন্টেকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে প্রস্তাব করা হয়। তিনি প্রেসিডেন্টের সঙ্গে মন্ত্রিসভা গঠন নিয়ে আলোচনায় যান। কিন্তু প্রেসিডেন্ট অর্থমন্ত্রী হিসেবে পাওলো সাবোনার নিয়োগ নিয়ে আপত্তি তুলেন। এতে করে নতুন সংকট দেখা দেয়।