ডেস্ক নিউজ : আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হবিগঞ্জ-৪ নির্বাচনী এলাকা(চুনারুঘাট-মাধবপুর)থেকে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর ব্যারিষ্টার সায়েদুল হক সুমনের বিরুদ্ধে চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীর সঙ্গে যোগাযোগের প্রমান পাওয়া গেছে। এমনকি চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীর বিরুদ্ধে অভিযোগের মাত্রা কমিয়ে দেয়ার জন্য বড় অঙ্কের টাকা লেনদেন করা হয়েছে বলে একাধিক গোয়েন্দা সংস্থার কাছে প্রমান রয়েছে।
সুত্র জানায়, হবিগঞ্জের চুনারুঘাটের ব্যারিষ্টার সায়েদুল হক সুমন পরিবারের সদস্যদের বসবাসের সুবাদে আমেরিকার গ্রীন কার্ড পেয়েছে। এ কার্ডটি নবায়নের জন্য প্রতিবছর তাকে আমেরিকায় যেতে হয়। আমেরিকার নিউইয়র্কে অবস্থানকালীন সময় ব্যারিষ্টার সুমন একাধিকবার সেখানে পালিয়ে থাকা চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধী এবং হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার মুড়াকুড়ি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান লিয়াকত আলীর সঙ্গে যোগাযোগ করে।
২০১৮ সালের রমজান মাসে এক ইফতার মাহফিলে যুদ্ধাপরাধী লিয়াকত আলীর সঙ্গে সুমনকে দেখা গেছে। সেখানে ব্যারিষ্টার সুমনকে এক সংবর্ধনা দেয়া হয়। লিয়াকত আলীর আয়োজনে সে সংবর্ধনা সভাটি হয় বলে একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেছে।
এদিকে ব্যারিষ্টার সুমনের বিরুদ্ধে একাধিক যুদ্ধাপরাধীর সঙ্গে গোপন যোগাযোগের খবর পাওয়া গেছে। সে এসব যুদ্ধাপরাধীর কাছ থেকে ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করে বলে ও অনেকে জানায়।
ব্যারিষ্টার সুমন প্রায়ই ফেসবুকে লাইভ কার্যক্রম দেখিয়ে সস্তা জনপ্রিয়তা নেয়ার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় সে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রমকে পাশ কাটিয়ে ভাঙ্গা রাস্তা বা ব্রিজ এবং কালভার্টের অবস্থা তুলে ধরে।
সম্প্রতি সে এলাকার আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি নিয়ে সড়ক ডাকাতি নিয়ে সরকারের সমালোচনা করে। স্থানীয়ভাবে ‘লাইভ সুমন’ বলে পরিচিত এ ব্যারিষ্টার এসব তুলে ধরে পরোক্ষে বিএনপি-জামাতের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে বলে অনেকে জানান।
প্রসঙ্গত, ব্যারিষ্টার সুমন নিজেকে ব্যারিষ্টার পরিচয় দিলেও তার বড় ভাই সোহাগ লন্ডন থেকে জানিয়েছে সায়েদুল হক সুমনের কোন ব্যারিষ্টারি সনদ নেই।সে ঢাকার ভুইয়া একাডেমী থেকে এলএলবি পাশ করে লন্ডনে ব্যারিষ্টারি পড়ার জন্য গেলেও সেখানে কিছুদিন ট্যাক্সি চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে পরে দেশে ফিরে নিজেকে ব্যারিষ্টার বলে পরিচয় দিতে থাকে।
Subscribe
Login
0 Comments
Oldest