এ এস কাজল (ষ্টাফ রিপোর্টার): “রান্না করি বাড়িতে মন থাকে ভাঙ্গা স্কুরের দিক কোন সময় যেন পুলাগো খারাপ খবর পাই। বৃষ্টি বাদলের দিন গাছের নীচে বসে স্কুল করে পুলা দুইডা।ঠাডার আওয়াজ পাইলে কাম ফালাইয়া দৌড়াইয়া যাই স্কুলে পুলাগো দেখতে।দূর্ভাগ্য দের মাসেও স্কুলডা কেউ ঠিক করলো না।” ক্ষোভের সাথেই কথা গুলো বলেলেন চরভদ্রাসনের জাকেরর সুরা সেতুর নিকট আরজ খার ডাঙ্গি গ্রামের বি এম ডাঙ্গী স: প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক অভিবাবক জেলেকা বেগম। স্কুলের সাথেই তার বাড়ী। ইমন হোসেন ও সুমন হেসেন নামে তার দুই ছেলে ঐ স্কুলের তৃতীয় ও দ্বিতীয় শ্রেনীর ছাত্র। তিনি আরও বলেন একটা ত্রিফলের ব্যবস্থাও যদি কেউ করতো তা হলে রোদ বৃষ্টি হতে অন্তত বাচ্চারা কিছুটা রক্ষা পেত।
দ্বিতীয় শ্রেনীর ছাত্রী মুক্তা আক্তার(৭) জানায় কিছুদিন আগে আম গাছ হতে বিছা পরে তার গলার কাছে ঘা হয়ে যায়। বেশ কিছুদিন সে ¯কুলে আসতে পারেনি। ঐ অবস্থাতেই পরীক্ষা দিয়েছে। এছাড়া আরও অনেক শিক্ষার্থী অভিযোগ করে তাদের রোদের মধ্যে বসে কাস করতে হয়।তাছাড়া আম গাছের পিপড়ার কামড় তো আছেই।
ভার প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আছিয়া নূর বলেন“ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থ হবার আগে ছাত্র হাজিরার সংখ্যা ছিল ১ শত ৪১ জনে ১ শত ৩০ জন। এখন তা কমে গিয়ে ৮০ জনে দারিয়েছে। প্রতিদিনই কোন না কোন অভিবাবকের বকা শুনতে হয়। ঝড়ো ভাব দেখলে শিক্ষার্থীদের ছেড়ে দিতে বলেন তারা। আমাদের চারজন শিক্ষককের মানষিক যন্ত্রনা বোঝাতে পারবো না।বৃষ্টি এলে শিক্ষার্থীদের দাড়ানোর জায়গা নেই।
অভিবাবকদের অভিযোগ ও শিক্ষার্থীদের অসুবিধার কথার ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুন নাহার বলেন আনেক আগেই আমি স্কুলটির ব্যাবস্থা নিতে বলেছি। রোজার ছুটির মাঝে স্কুলটির সব কাজ সম্পন্ন করা হবে।
উপজেলা চেয়ারম্যান এজিএম বাদল আমীন বলেন স্কুলের জায়গা নিয়ে একটু ঝামেলা আছে। বর্তমান স্কুল থেকে ৩০০ মিটার দূরে একজন জায়গা দিয়েছে। সেখানে মাটি কাটার কাজ চলছে। খুব তারাতারি একটি টিনশেট ঘর তুলে স্কুলটি স্থানান্তর করা হবে।
প্রসঙ্গত গত ৩০ মার্চ ঝড়ের আঘাতে লন্ডভন্ড হয়ে যায় স্কুল ঘরটি। বাধ্য হয়েই খোলা আকাশের নীচে শিক্ষা কার্যক্রম চালাতে হচ্ছে। এ বিষয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হয়েছিল।