অনাস্থা ভোটে কোনোমতে টিকে গেলেন টেরিজা মে

ব্রেক্সিট চুক্তি নিয়ে ভোটাভুটিতে বিপর্যয়কর হার হলেও অনাস্থা ভোটে কোনোমতে টিকে গেলেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে।যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউজ অব কমন্সে একদিনের ব্যবধানে এই ভোটও হয়। দীর্ঘ আলোচনার পর বুধবার ভোট শেষে দেখা যায়, টেরিজা মের সরকারের প্রতি অনাস্থা জানিয়েছেন ৩০৬ জন পার্লামেন্ট সদস্য, বিপরীতে সরকারের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন ৩২৫ জন।

কমরেড খোন্দকার : ব্রেক্সিট চুক্তি নিয়ে মঙ্গলবার ভোটের পরপরই লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন রক্ষণশীল দলের সরকারের প্রতি অনাস্থা প্রস্তাব এনেছিলেন।
ভোটের নিজেদের হারের পর জেরেমি করবিন বলেছেন, কোনো চুক্তি ছাড়াই ইইউ ছাড়ার মতো ঘটনা যেন না ঘটে, টেরিজা মেকে তা নিশ্চিত করতে হবে।
আর টেরিজা মে ব্রেক্সিট চুক্তির নতুন খসড়া তৈরিতে পার্লামেন্টের সব দলের সঙ্গে আলোচনার প্রস্তাব রেখেছেন।
বুধবারের আস্থা ভোটে টিকে গেলে ব্রেক্সিট প্রশ্নে আরেকটি প্রস্তাব আগামী সোমবার সামনে আনার কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে। তবে সেই প্রস্তাব কেমন হবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।তাবে যদি এমপিরা সিদ্ধান্ত না বদলান, তাহলে কয়েকটি বিকল্প তার সামনে থাকবে। এর একটি হল ‘নো ডিল ব্রেক্সিট’। অর্থাৎ, ২৯ মার্চ যুক্তরাজ্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাবে, তবে কোনো চুক্তি হবে না।
সেক্ষেত্রে বিচ্ছেদ হবে হুট করেই, বিচ্ছেদ পরবর্তী সম্পর্ক কেমন হবে, ব্যবসা বাণিজ্যের ক্ষেত্রে কর কাঠামো কেমন হবে, কূটনৈতিক সম্পর্কের ধরনই বা কী হবে- সেসব বিষয় অনির্ধারিতই থেকে যাবে।
এখন ইইউর দেওয়া চূড়ান্ত সময়সীমা ২৯ মার্চ থেকে আরও বাড়িয়ে নেওয়ার কথাও তারা ভাবতে পারে যুক্তরাজ্য সরকার।আরও একটি বিকল্প আছে, আর সেটি হল আরেকটি গণভোট। ব্রিটেনের নাগরিকদের কাছে আবারও জানতে চাওয়া হবে- তারা সত্যিই ব্রেক্সিট চান কি না। সেজন্যও ইইউর কাছে বাড়তি সময় চেয়ে নিতে হবে।

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x